ফেরদৌসির মহাকাব্য 'শাহনামা' থেকে মূলভাব গ্রহণ করে গল্পটি লেখা হয়েছে। ইরানের পাশের শান্তিপ্রিয় দেশ সামনগার রাজকন্যা তহমিনাকে বিয়ে করেন মহাবীর রুস্তম। বিয়ের অল্পকালের মধ্যে রুস্তম তাঁর রাজ্য ইরানে ফিরে যান। তহমিনার গর্ভে জন্ম নেয় রুস্তমের সন্তান বীর সোহরাব ছেলে জন্মানোর সংবাদ পেলে রুস্তম সন্তানকে তাঁর মতোই যুদ্ধে নিয়ে যাবে- এ ভয়ে মা তহমিনা স্বামী রুস্তমকে খবর পাঠান একটি কন্যা সন্তানের জন্য হয়েছে। এ থেকেই মূল বেদনা-গাথার শুরু। 'যুদ্ধক্ষেত্রে পিতাপুত্র' মহাবীর রুস্তম কীভাবে পুত্র সোহরাবকে হত্যা করল সেই বেদনামাখা কাহিনি। এখানে দেখা যায়, ছেলে সোহরাব পিতার খোঁজে এসেছে ইরান, কিন্তু কেউই রুস্তমের সন্ধান দিতে পারছে না। অথচ নিজেরই অজ্ঞাতে তরবারি ধরতে হলো পিতার বিরুদ্ধে এবং মৃত্যুও হলো তার। মৃত্যুর সময় দুজন জানতে পারল যে, সম্পর্কে তাঁরা আসলে পিতা ও পুত্র। মহাবীর রুস্তম অচেনা তুরানি বালকের কাছে পরাজিত না হওয়ার জন্য বীরত্বকে বিসর্জন দিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নেয়। নিজের হাতে ছুরিবিদ্ধ করে আপন সন্তানের বুক। পরিচয় পাওয়ার পর জীবনে নেমে আসে হাহাকার।
জয় বা বীরত্ব কাঙ্ক্ষিত ও প্রশংসনীয়। কিন্তু বীরত্বের নামে প্রতারণা জীবনে বয়ে আনতে পারে চরম মানবীয় বিপর্যয়- যা এ গল্পের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে।
common.read_more